সিরি আ’তে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা জুভেন্টাস চ্যাম্পিয়নস লিগে যেনো অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে। গ্রুপপর্বের ম্যাচে টানা চার জয় নিয়ে নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত করলো ইতালিয়ান ক্লাবটি।
ঘরের মাঠে জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গর বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তুরিনের ওল্ড লেডিরা। জুভেন্টাসের হয়ে জোড়া গোল করেন আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা। একটি করে গোল ফেডরিকো কিয়াসা ও আলভারো মোরাতা। জেনিতের হয়ে আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমান জুভেন্টাস ডিফেন্ডার লিওনার্দো বনুচ্চি। একটি গোল করেন এজমাউন।
শুরু থেকে আক্রমনত্মক খেলতে থাকা জুভেন্টাস ম্যাচের মাত্র এগারোতম মিনিটেই পেয়ে যায় প্রথম গোলের দেখা। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার পাওলো দিবালার গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা। কর্ণার থেকে উড়ে আসা বল দূর্দান্ত এক শটে জালে জড়ান জুভেন্টাস অধিনায়ক।
যদিও অষ্টম ও নবম মিনিটে পরপর দুটি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছিলো স্বাগতিকরা। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে অনেকটা ফাঁকা পোষ্ট পেয়েও উপরে মারেন মোরাতা।
২৬তম মিনিটে হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান জুভ ডিফেন্ডার বনুচ্চি। তাতে ম্যাচে সমতায় আসে জেনিট। ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে মোরাতা গোল করলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি। প্রথমার্ধে আর গোল না হলে ১-১ গোলের সমতায় বিরতিতে যায় দুইদল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও একের পর এক সুযোগ নষ্ট করতে থাকে জুভেন্টাস। তবে ৫৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্কোর লাইন ২-১ করেন দিবালা এবং ৭৩তম মিনিটে গোল করে দলকে ৩-১ গোলের লিড এনে দেয় কিয়াসা।
৮২তম মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা পান মোরাতা। দিবালার পাস থেকে গোল করে প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। যোগ করা সময়ে আজমাউনের করা গোলে হারের ব্যবধান কমায় জেনিট।
গ্রুপপর্বে চার ম্যাচের চারটিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট রাউন্ড নিশ্চিত করলো জুভেন্টাস। চার ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে জেনিট। নয় পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ান চেলসি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।